যেভাবে হতে পারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা

প্রাথমিকভাবে কিছু সুপারিশ আসলেও ভর্তি পরীক্ষা কী পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ জন্য এইচএসসির ফল প্রকাশ পর্যন্ত সময় নেওয়া হবে। তবে অনলাইন ভর্তি পরীক্ষায় না যাওয়া, পরীক্ষার পূর্ণমান ১০০-তে কমিয়ে আনা ও বিভাগভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে ইতোমধ্যেই সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটি।

গত ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির ‘এক্সক্লুসিভ’ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে জানা যায়, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ডিসেম্বরে এইচএসসির ফল প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে। তবে অনলাইন মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা হবে না। ডিনস কমিটির বৈঠকে অধিকাংশই এর পক্ষে মত দেননি। বরং বিভাগভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে সুপারিশ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ দেশের আটটি বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এসব পরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দই পরিচালনা করবেন।

এছাড়াও বিশেষ পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষার পূর্ণমান ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০-তে আনার সুপারিশও করেছে কমিটি।

 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল জানান, প্রতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২০০ নম্বর হলেও এবার পূর্ণমান থাকবে ১০০। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক থেকে রেজাল্টের উপর ৮০ নম্বর থাকলেও সেটি কমিয়ে ২০ নম্বর করা হয়েছে। আর এমসিকিউ নম্বর ৭৫ থেকে ৩০ করা হয়েছে। এছাড়া লিখিত পরীক্ষার নম্বর থাকবে ৫০। সবমিলিয়ে ১০০ নম্বরের উপর ভর্তিচ্ছুদের মেধাক্রম তৈরি করা হবে।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জানান, আমরা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে বিভাগভিত্তিক পরীক্ষা গ্রহণ করবো। যেমন খুলনা থেকে যারা আসতে চায়, তাদের পরীক্ষা খুলনা বিভাগেই হবে। যাতে তাদের ঢাকায় আসতে না হয়। গুণগত মান ধরে রাখার জন্য আমরা এসএসসির ফলাফল দেখবো এবং সেখান থেকে কীভাবে মূল্যায়ন করা যায় সে পদ্ধতি নিয়ে আরও বৈঠকের মাধ্যমে আলোচনা করবো।

এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ডিনস কমিটি কিছু সুপারিশ করেছে। তবে সেগুলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। শীঘ্রই ‘জেনারেল এডমিশন মিটিং’-এ অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষায় না যাওয়া, বিভাগভিত্তিক পরীক্ষার মত বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে। তবে আমরা এইচএসসির ফল প্রকাশের অপেক্ষা করছি। এরপর বিস্তারিত জানানো হবে।

সূত্র বিডি-প্রতিদিন

About GANESH BAIDYA

Check Also

বিনা মূল্যে সরকারি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স, দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা দেয়া হবে।

[ad_1] যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করাবে। সরকারি এ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *