[ad_1]

চারিদিকে তীব্র শীত, স্কুল-কলেজ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এক্ষেত্রে স্কুল-কলেজ বন্ধ করবে কিনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী অভিভাবক প্রশ্ন রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে মূলত স্কুল কলেজ বন্ধ নেয়ার ব্যাপারে কি বলছে
এবং শীতের ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে কি জানাচ্ছে সে সম্পর্কে আমরা এখানে আলোচনা করব।
তীব্র শীত কারণে গত বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছিল, কারণ এই শীতের মধ্যে শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারছিল না।
যার কারণে বেশ কয়েকদিন স্কুল কলেজ বন্ধ ছিলো। চলতি বছরে স্কুল কলেজের কারণে বন্ধ দিবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সরকারি আর্থিক অনুদান আবেদন শুরু – আবেদন করুন
ইতিমধ্যে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। নতুন বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা, খুব আনন্দ করে স্কুলে যাচ্ছে।
কিন্তু গত কয়েকদিনের তীব্র শীত প্রবাহের কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে পারছিল না। শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকরা দাবি করছিল তাদের স্কুল বন্ধ দেয়া হোক।
তীব্র শীত কিছুটা কমে আসবে তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হোক। কারণ এমনিতেই শিক্ষার্থীরা স্কুল অনুপস্থিত থাকছে।
তীব্র শীত কথা বলা হয়েছিল কয়েকজন শিক্ষকের সাথে। তারাও জানিয়েছে এই তীব্র শীতের কারণে ক্লাসে উপস্থিতির সংখ্যা অনেকটাই কমেছে।
গত বছর ১৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে যখনই নামা হয়েছিল তখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল
অর্থাৎ যে সকল জেলায় তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে এসেছে, সেখানে স্কুলকলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছিল জেলা প্রশাসক।
কিন্তু চলতি বছর ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় শীতের তাপমাত্রা 17 ডিগ্রি নিচেও চলে গেছে। কিন্তু এখনো কোনো প্রকার স্কুলকলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি।
সর্বশেষ তথ্য মতে ঢাকার ও আশেপাশে এলাকার তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর কাছাকাছি অবস্থান করছেন,
বিভিন্ন জেলার তাপমাত্রা আরো অনেক কমে গেছে। ঢাকাবাসী কয়েকদিন ধরে কোন প্রকার রোদের আলো দেখতে পারছে না,
যার কারণে অনেকেই বাসায় বন্দি হয়ে থাকছে। সবার স্বাভাবিক কার্যক্রম অনেক বিঘ্ন করছে। এই অবস্থায় স্কুল-কলেজ
বন্ধ ঘোষণা করবে কিনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় সে ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোন কিছু জানায়নি। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
উচিত একটি সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রার উপর চিন্তা ভাবনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করা। কেননা তীব্র শীতের কারণে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ছে, বিদ্যালয়ে উপস্থিতির সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
Related