পড়া মুখস্থ ও অনেক দিন মনে রাখার গুরুত্বপূর্ন কিছু টিপস

পড়া মুখস্থ ও অনেক দিন মনে রাখার গুরুত্বপূর্ন কিছু টিপস

জিএডুব্লোগ২৪.কম : হ্যালো গাইজ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আর ভালো না থাকলে তো ভালো লাগার ওয়েবসাইট আছেই। যেখান থেকে আমরা নিত্য নতুন টিপস-এন্ড-ট্রিকস পেয়ে থাকি।

তো যাই হোক আজকে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি তা আপনারা ইতিমধ্যে উপরিউক্ত টাইটেল দেখেই জেনে গেছেন।

হুম বন্ধুরা, আজকের পোষ্টে পড়া মুখস্থ করার কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করবো। যদিও বর্তমানে সৃজনশীলতার যুগে মুখস্থ বিদ্যার প্রবনতা খুব বেশি নেই। তবে কিছু কিছু বিষয় আমাদের মুখস্থ করার প্রয়োজন হয়। যারা মুখস্থ বিদ্যায় অভ্যস্ত নয় তাদের ছোট্ট একটা বিষয় মুখস্থ করতে অনেক সময় লেগে যায়। আজকের পোষ্টে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিভাবে আপনারা যেকনো বিষয় দ্রুত মুখস্থ করতে পারেন।


১। পড়ার সঠিক সময় নির্বাচন:

পড়া মুখস্থ করার ক্ষেত্রে সঠিক সময় নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিছু কিছু সময় আছে যখন আপনি পড়া পড়লে দ্রুত সময়ের মধ্যে পড়া মুখস্থ হয়ে যায়। সকাল, মাগরিবের নামাজের পর এবং রাতে এই তিন সময় পড়া মুখস্থ করার জন্য খুব উপকারী। রাতের পড়া অন্তরে বসে যায়। রাতের পরিবেশ অনেক নিরিবিলি। আপনাকে ডিস্টার্ব করার কেউ থাকবে না। আপনি খুব সহজেই পড়ায় মন বসাতে পারবেন।

যারা মাদ্রাসায় কুরআন শরীফ হিফজ বা মুখস্থ করে তারা রাত্রে বেশি পড়ে। রাত দুইটা, তিনটার সময় উঠে পড়ার জন্য। কারণ তখন পড়া মুখস্থ হয়। এমনিভাবে সকালেও পড়া মুখস্থ করার ভালো একটা সময়। সকাল খুব দ্রুত ওঠার চেষ্টা করবেন। ফজরের নামাজ প্রতিদিন পড়ার চেষ্টা করবেন। সকালে মাথা ফ্রেশ থাকে। মাথায় চাপ কম থাকে এবং চিন্তামুক্ত থাকে। তাই সকালে যখন পড়বেন সেটা দ্রুত মাথায় ঢুকবে।

এইচএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ 2024 করার নিয়ম।


২। বুঝে বুঝে পড়া:

পড়া মুখস্থ করার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে পড়া বুঝে বুঝে পড়া। আপনি যখন কোন বিষয় বুঝে বুঝে পড়বেন তখন আপনার মস্তিষ্ক খুব দ্রুত তা আয়ত্ত করে নিতে পারে। আর আপনি যদি শুধু কোনমতে গরুর রচনা পড়ে যান , তাহলে আধাঘণ্টার পড়া মুখস্থ করতে দুই ঘণ্টা লাগবে। আপনি যদি কোন পড়া বুঝে বুঝে পড়েন তাহলে আপনি তা দির্ঘ সময়ের জন্য মনে রাখতে পারবেন। প্রতিটি বাক্য পড়ার সয়য় চিন্তা ফিকির করুন। কোন টিচার যদি কোন বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝিয়ে দেয়। তাহল, তা পরবর্তীতে তা মুখস্থ করা অনেক সহজ হয়। এজন্য ক্লাসে টিচারের লেকচার খুব মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত।


৩। কোলাহল মুক্ত পরিবেশে পড়া:

পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি করতে হলে কোলাহল মুক্ত পরিবেশ নির্বাচন করতে হবে। এক্ষেত্রে গ্রামের পরিবেশ অনেক ভালো। কেনোনা গ্রামে শহরের মতো তত শব্দ দূষণ হয় না। লেখা পড়ায় মনোযোগ আনতে হলে কোলাহল মুক্ত পরিবেশে পড়ার কোন বিকল্প নাই। আপনার যদি মনোযোগি না থাকে তাহলে পড়া মুখস্থ হবে কি করে। আপনার যেকোনো কাজ মনোযোগ সহকারে করলে তা ভালোভাবে সম্পন্ন হবে । এজন্য মনোযোগ আনতে হবে।

৪। স্মার্টফোন দূরে রাখা:

অপনি যখন পড়া লেখায় বসবেন তখন যথাসম্ভব ফোন দূরে রাখার চেষ্টা করবেন। কেননা অযথা নোটিফিকেশন এসে আপনার লেখা পড়ায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাছাড়া স্মার্টফোনের ব্যবহার সীমিত করা উচিত। কেননা, এর বহুল ব্যবহার ছাত্রদের পড়ালেখার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি অভিভাবকের অভিযোগ হচ্ছে যে তার ছেলে পড়ালেখায় মনোযোগী না। এর প্রধান কারণ স্মার্টফোনে অধিক পরিমাণ সযয় ব্যয় করা । স্মার্টফোনের ভালো খারাপ উভয় দিক রয়েছে। তবে ছাত্ররা খারাপ দিকটাই বেশি ব্যবহার করে। বর্তমানে তো গ্রামে গঞ্জেও দেখা যায় যে ছেলেরা রাস্তায় রাস্তায় ফোন নিয়ে বসে আছে। সুতরাং, পড়ালেখায় মনোযোগী হতে হলে এর খারাপ ব্যবহার থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এর ব্যবহার সীমিত করতে হবে।

৫। লিখে পড়ার অভ্যাস করতে হবে:

লিখে পড়লে আমাদের ব্রেনের অনেক বেশি এলাকা উদ্দীপ্ত হয়। লেখার সাথে ব্রেনের যে অংশগুলো জড়িত তা তথ্যকে স্থায়ী মেমোরীতে রূপান্তর করতে সহায়তা করে। এছাড়া মানুষ কোন কিছু লিখতে চাইলে উক্ত বিষয়ের প্রতি মনোযোগ বেড়ে যায় যা স্থায়ী মেমোরি তৈরিতে সহায্য করে।

৬। মার্কার ব্যবহার করা:

অনেকে পড়ার সময় মার্কার ব্যবহার করে এটা বেশ কার্যকর। কারণ যখন কোন কিছু মার্ক করা হয় তখন ঐ শব্দ বা বাক্যের উপর আগ্রহ ও আকর্ষণ বেড়ে যায়। পাশাপাশি এর উপর ব্রেনের ভিজ্যুয়াল এফেক্ট বেড়ে যায়। ফলে মনে রাখতে সুবিধা হয়।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি ২০২৪ সার্কুলার, অনলাইন আবেদন ফরম pdf, ফলাফল

৭। সন্ধ্যার পর পড়াশোনা করা:

বিভিন্ন  গবেষণায় দেখা গেছে সকাল দশটার আগে মানুষের ব্রেন ক্রিয়াশীল হয় না। এই সময়ের পর থেকে ধীরে ধীরে ব্রেনের ক্রিয়াশীলতা বাড়তে থাকে। বিশেষ করে বিকালের পরে ব্রেনের ক্রিয়াশীলতা বাড়ে। তাই সকালের পড়া থেকে বিকাল বা সন্ধ্যার পর পড়া বেশী কার্যকর।


৮। পর্যাপ্ত ঘুম:

ব্রেন মূলত স্মৃতি তৈরির কাজ করে ঘুমের ভিতর। গবেষণায় দেখা গেছে সারাদিনের কাজ বা ঘটনাগুলো ঘুমের সময় মেমোরিতে রূপান্তরিত হয়। ফলে যে কোন তথ্য মেমোরিতে রূপান্তরিত করতে চাইলে পড়াশোনার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।

৯। মুখস্থ বিদ্যাকে না বলা:

মুখস্থ বিদ্যা চিন্তাশক্তিকে অকেজো করে দেয়। পড়াশোনার আনন্দও মাটি করে দেয়। কোন কিছু না বুঝে মুখস্থ করলে সেটা বেশিদিন স্মৃতিতে ধরে রাখা যায় না। কিন্তু তার মানে এই নয় সচেতনভাবে কোন কিছু মুখস্থ করা যাবে না। টুকরো তথ্য যেমন: সাল, তারিখ, বইয়ের নাম, ব্যাক্তির নাম, বিজ্ঞানের কোন সূত্র ইত্যাদি বুঝে মুখস্থ করতে হবে।

১০। রিভাইজ:

গবেষণায় দেখা গেছে আমরা আজকে সারাদিন যত কিছু পড়ি শুনি জানি বা দেখি তা পাঁচ দিন পর চার ভাগের তিন ভাগই ভুলে যাই। এ ভুলে ঠেকানোর জন্য কিছু টিপস আছে যেমন: ৪৫ মিনিট পর ১৫ মিনিট ব্রেক এবং সেই ব্রেকে মনে মনে সে পড়াটা  রিভাইজ দেয়া এবং কোথাও আটকে গেলে তা আবার দেখে নেয়া। আজকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পড়ে আগামীকাল ঘুমানোর আগে উক্ত পড়া রিভাইজ দেয়া। তারপর এক সপ্তাহ পর পুনরায় রিভাইজ দিলে দীর্ঘদিন মনে থাকবে।

About GANESH BAIDYA

Check Also

বিনা মূল্যে সরকারি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স, দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা দেয়া হবে।

[ad_1] যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করাবে। সরকারি এ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *