Breaking News

কেরালার যে মন্দিরে পূজিত হন মহাভারতের শকুনি মামা!

[ad_1]

কেরালার যে মন্দিরে পূজিত হন মহাভারতের শকুনি মামা!

আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় মহাভারতের কোন চরিত্রটি আপনার সবচেয়ে প্রিয়, আপনি হয়তো বলবেন কৃষ্ণ, আবার কেউ বলবেন অর্জুন, আবার কারো পছন্দ কর্ণ। তবে প্রিয় চরিত্র হিসেবে শকুনির নাম শুনতে পাওয়া বেশ দুর্লভই বটে।

সেই দুর্লভ ঘটনাই ঘটে ভারতের কেরালায়। সেখানে শকুনির মন্দির গড়ে রীতিমতো পূজো করা হয়। কেরালার কোল্লাম জেলায় রয়েছে এই মন্দির। মায়ামকোট্টু মালানচারুভু মালানাদা নামক এই মন্দির রোজ শকুনির পুজো হয়। ভক্তরা নারকেল ও রেশমের টুকরো দিয়ে শকুনির পূজা করেন।

আরো পড়ুনঃ
শ্রীকৃষ্ণের বিচারে কর্ণ ও অর্জুনের মধ্যে কে প্রকৃত দানবীর?

এখানে শকুনির কোন মূর্তি বা প্রতিকৃতিতে পুজো হয়না, পুজো হয় একটি মুকুটের। স্থানীয় লোকবিশ্বাস মতে এই মুকুটটি ছিল গান্ধার রাজ শকুনির। মহাভারতের কাহিনী থেকে জানা যায়, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শুরুর আগে মামা শকুনি কৌরব ভাগ্নদের নিয়ে সমগ্র ভারতবর্ষ পরিক্রমণ করেছিলেন। কেরালার কোল্লামের এই স্থানে এসে শকুনি মামা শিবের পূজা করে বর লাভ করেছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে এই স্থানে শকুনির মন্দির গড়ে ওঠে।

শকুনি মামা
শকুনি মামা

মহাভারতের কুটিলতম চরিত্র শকুনি। তিনি ভালো করে জানতেন দুর্যোধনসহ অন্যান্য কৌরবরা পাণ্ডবদের সাথে কখনো জয়ী হতে পারবেন না। তবু তিনি কৌরবদের এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের দিকে ধাবিত করেছিলেন। শকুনি ও তার পরিবারের প্রতি হওয়া অবিচারের প্রতিশোধ নিতেই তিনি এই কুট কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। শকুনি না থাকলে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধই হতোনা।

আরো পড়ুনঃ
হিন্দু ধর্মে বিয়ের তারিখ ও লগ্নের প্রয়োজনীয়তা

কুটিল চরিত্রের অধিকারী শকুনির মধ্যে কিছু গুণাবলী খুঁজে পান অনেকেই। যেমন – শকুনি না থাকলে কুরুবংশ ধ্বংস হত না। শকুনি না থাকলে পাণ্ডবদের জয় হত না। শকুনি না থাকলে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ হত না। শকুনি না থাকলে ভগবত্‍ গীতার সৃষ্টি হত না। সবচেয়ে বড় কথা শকুনি না থাকলে মহাভারতই থাকত না।



[ad_2]

About GANESH BAIDYA

Check Also

পুত্রদা একাদশী মাহাত্ম্য ও একাদশী পারনের সময়

পুত্রদা একাদশী মাহাত্ম্য ও একাদশী পারনের সময় পুত্রদা একাদশী জিএডুব্লোগ২৪.কম: যধিষ্ঠির বললেন—হে কৃষ্ণ! পৌষ মাসের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *